ঢাকাশনিবার , ৫ এপ্রিল ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা চাইলেন মোদি, ড. ইউনূস বললেন, হাসিনাকে ‘থামাতে’

সংবাদ ২৪
এপ্রিল ৫, ২০২৫ ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

অনলাইন ডেস্ক

বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রথমবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক কথাবার্তা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে তাকে থামাতে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এদিকে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলো তদন্ত করতে ড. ইউনূসের কাছে দাবি করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। -টাইমস অব ইন্ডিয়া, বাসস

বিষয়টি নিয়ে শেখ হাসিনাকে ‘থামানোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে’ও ভারতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা। সংখ্যালঘু ইস্যুতে ড. ইউনূস মোদিকে বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের খবরের ‘বেশিরভাগই ভুয়া’। সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ভারতীয় সাংবাদিকদের তিনি আমন্ত্রণ জানান। বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দেভাল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে মোদী বাংলাদেশের সাথে বাস্তবতার নিরিখে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক সম্পর্ক চেয়ে ড. ইউনূসকে এই সম্পর্কে অবনতি ঘটে এমনসব কথা এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান করেন।

বৈঠকে ইউনূস বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে বিভিন্ন মাধ্যমে
‘বিদ্বেষমূলক মন্তব্য’ করে আসছেন, যেটা মনে হয় ভারতের ‘আতিথেয়তার লঙ্ঘন’। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ‘মিথ্যা ও বিদ্বেষমূলক অভিযোগ’ করে আসছেন।

ড. ইউনূস বলেন, যেহেতু তিনি আপনার (নরেন্দ্র মোদী) দেশেই অবস্থান করছেন, আমরা অনুরোধ জানাই এমন উসকানিমূলক বক্তব্য থামাতে ভারত সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে এক ধরনের টানাপড়েন চলছে। বিচারের জন্য শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি দিল্লিতে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে এনেছে ইউনূস সরকার।

বিমসটেকের সাইডলাইনে সেই বৈঠক হয়েছে এবং সেখানে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পাশপাশি তার বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ, বাংলাদেশে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ, গঙ্গা ও তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, সীমান্ত হত্যা ও দুই দেশের সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা
হয়েছে।

বৈঠকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের প্রতিবেদনের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা, যে প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাধ্যমে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উঠে আসার কথা বলা হয়েছে।ইউনূস বলেন, ইউএন ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে বিক্ষোভ সম্পর্কিত ১ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যুর কথা উঠে এসেছে, যার মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু। খুন, নির্যাতনের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের মত অপরাধ সংঘটনের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, বিক্ষোভকারীদের গুলি করতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিজে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। বিশেষ করে আন্দোলনের নেতাদের গ্রেপ্তার, হত্যা ও লাশ গুমের নির্দেশনা দেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উসকানি ছড়ানোর অভিযোগের বিষয়ে বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে দায়ী করেন। মোদী বলেন, শেখ হাসিনার মন্তব্য ঘিরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তার জন্য দায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ভারতের সম্পর্ক একটি দেশের সঙ্গে, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়। বৈঠকে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারতকে উপায় খোঁজার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী কেবল আত্মরক্ষায় গুলি চালায়। আর প্রাণহানির ঘটনাগুলো ভারতের সীমান্তের মধ্যেই ঘটে। বিষয়টি নিয়ে দুই নেতা একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।

আমাদের সাইটে আমরা নিজস্ব সংবাদ তৈরির পাশাপাশি দেশের এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য সংবাদমাধ্যম থেকে গুরুত্বপূর্ণ খবর সংগ্রহ করে নির্ভুল সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। আমরা সবসময় তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে, যদি কোনো সংবাদ নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকে, তাহলে আমরা আপনাকে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যম বা নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য।

এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।
%d bloggers like this: