কূটনৈতিক সংবাদদাতা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গুতেরেস বিমানবন্দর থেকে প্রথমে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান।
পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকার বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় হোটেলে গুতেরেসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবেন জাতিসংঘ প্রধান। বৈঠকের পর গুতেরেস রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে কক্সবাজার যাবেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে স্বাগত জানাবেন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস দিনের শেষে গুতেরেসের সঙ্গে কক্সবাজারে প্রায় ১ লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।
ওই অনুষ্ঠানে উভয় নেতা রোহিঙ্গা ইমাম এবং সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ইফতারের আগে, ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করবেন মহাসচিব। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, লার্নিং সেন্টার, মাল্টিপারপাস সার্ভিস সেন্টার এবং একটি পাট উৎপাদন কেন্দ্র। তিনি রোহিঙ্গা যুবক ও শিশুদের সঙ্গেও কথা বলবেন। গুতেরেস আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ফিরে আসবেন।
পরদিন শনিবার (১৫ মার্চ) জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকায় জাতিসংঘের কার্যালয় পরিদর্শন করবেন। সেখানে তিনি জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলন করবেন। বাংলাদেশ-জাতিসংঘ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখবেন এবং জাতিসংঘের কর্মীদের সঙ্গে একটি সভায় যোগ দেবেন। বিকালে তিনি ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে একটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেবেন। তিনি তরুণদের সঙ্গে একটি সংলাপে অংশ নেবেন এবং নাগরিক সমাজের সদস্যদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন। পরে হোটেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক যৌথ মিডিয়া ব্রিফিংয়ে গুতেরেস বক্তব্য রাখবেন। একই দিনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জাতিসংঘ প্রধানের সম্মানে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করবেন।
এর পরদিন রোববার (১৬ মার্চ) গুতেরেস সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ড. খলিলুর রহমান বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাতে উপস্থিত থাকবেন বলে পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
ওসামা বিন মাহী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত