অনুসন্ধানী ধারাবাহিক প্রতিবেদন (১)
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে ছিল নিয়মিত ওঠাবসা। রাজধানী জুড়ে দাঁপিয়ে বেড়াতেন আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে । ৫ আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভোল পাল্টে তিনি হয়ে গেছেন বাড্ডা থানা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি পদপ্রার্থী বলছি রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকায় বসবাস করেন আমান মিয়ার কথা।
গুলশান, বাড্ডাও ভাটারা থানা এলাকার একাধিক স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন তিনি
এবং তাদের সহযোগিতায় নিয়ন্ত্রণ করতেন ক্যাসিনো জুয়া কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরের দিন বাড্ডা থানা এলাকার বেশ কয়েকজন শ্রমিক দলের কর্মীকে ডেকে নেন আমান । আর্থিক সুবিধা দিয়ে তাদের নিয়ে এলাকায় কাজ করারও প্রস্তাব দেন। তারপর থেকে তিনি নিজেকে শ্রমিক দল নেতা হিসেবে জাহির করতে কিছু সুবিধাভোগী নেতাদের মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে ব্যানার ফেস্টুন তৈরি নিজেকে বাড্ডা থানা শ্রমিক দল সভাপতি পদপ্রার্থী হিসাবে প্রচার প্রচারণা করে আসছে।
জানা যায়, আমান গং বর্তমানে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগদান করেন আর এই শ্রমিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে ভাটারা ও গুলশান থানা এলাকায় ক্যাসিনো জুয়া নিয়ন্ত্রণ সহ একাধিক অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড আসছেন আমান বাহিনীর একাধিক সদস্য ।
এছাড়াও একটি বিস্তত সূত্র জানায়, কথিত শ্রমিক দল নেতা পরিচয়দাতা আমানের নেই কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কোথাও চাকরিও করছেন না কিন্ত রাজধানীতে আলিশান ফ্ল্যাট বেশ কয়েকটি গাড়িসহ কোটি টাকার মালিক আর এসকল আয়ের উৎস ক্যাসিনো জুয়া বর্তমানে আমান গং এর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে গুলশান থানা এলাকার কালাচাঁদপুর নামক স্থানে আমানের জুয়ার আসর পরিচালনা করার জন্য তার বড় ভাই নিয়োজিত আছেন এবং ভাটারা ছোলমাইদ এলাকায় রয়েছে সুক্কুর আলি কুড়িল বিশ্বরোড রয়েছে ইব্রাহীম নামক এসকল ব্যাক্তিদের দিয়ে আমান গং ক্যাসিনো জুয়া পরিচালনা করেন।
বিষয়টি জানতে প্রতিবেদক বাড্ডা থানা এলাকার একাধিক বিএনপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদের দাবি , আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের শাসনামলে চলা দুঃশাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক দিনের জন্যও বাড্ডা থানা শ্রমিক দলের পদপ্রাথী আমান একদিনও রাজপথে দেখা যায়নি। কোনো মিছিল সমাবেশেও অংশ নেননি। বিএনপির অন্যসব নেতাদের নামে শত মামলা থাকলেও তার নামে নেই একটিও। বরং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ছায়াতলে থেকে ক্যাসিনো জুয়া নিয়ন্ত্রণ করে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে নিজেকে শ্রমিক দলের নেতা বলে জাহির করে রাজধানীর বাড্ডা থানা এলাকায় তৎপরতা শুরু করেছেন।
অন্যদিকে,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর দলীয় এক শ্রেণির নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও লুটপাট ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে বিএনপি। এদিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকারের পতনের দিনই নেতাকর্মীদের আইন নিজ হাতে তুলে না নিতে কঠোর বার্তা দেন। এরই অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও দখলবাজির অভিযোগে ইতোমধ্যে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। তার পরও থেমে নেই সুবিধা ভোগী ও নামধারী নেতাদের চাঁদাবাজি-দখলবাজির অভিযোগ। রাজধানী মহানগরের দায়িত্বশীল নেতারা প্রতিনিয়ত সতর্ক করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের কঠোর হুশিয়ারী করেছেন কোন অভিযোগ পাওয়া গেলেই সাংগঠনিক আইন গত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
বিষয় জানতে প্রতিবেদক কথিত শ্রমিক দল নেতা আমান মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিস্তারিত জানতে চোঁখ রাখুন আগামী প্রতিবেদনে………. …..……?
এই সাইটের সব ধরণের সংবাদ, আলোকচিত্র, অডিও এবং ভিডিও কন্টেন্ট কপিরাইট আইন দ্বারা সুরক্ষিত। বিনা অনুমতিতে এই কন্টেন্ট ব্যবহারের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং আইনত শাস্তিযোগ্য। আমরা আমাদের ব্যবহারকারীদের একটি সুরক্ষিত ও তথ্যবহুল অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমাদের নিউজ সাইটের মাধ্যমে পাওয়া যেকোনো তথ্য ব্যবহারের আগে দয়া করে সেই তথ্যের উৎস যাচাই করতে ভুলবেন না। আপনাদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমাদের সাথেই থাকুন, সর্বশেষ খবর এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে।